মোংলায় অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৬) ও পুলিশ’র যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মোংলা বন্দরের দ্বিগরাজ শিল্প এলাকার সরকার মার্কেট থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা। পরে জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা র‌্যাব-৬ এর হেফাজতে নেয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন, আব্দুল লতিফ শেখ’র ছেলে দেলোয়ার শেখ (৪৫), মৃত নকিম উদ্দিন শেখ’র ছেলে আঃ সালাম শেখ (৪৮) ও মৃত ফুল মিয়া শেখ’র ছেলে মোঃ কামরুল ইসলাম শেখ (৩৫)। আটক অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের বাড়ী খুলনার রুপসা বাগমারা এলাকায় বলে জানায় পুলিশ।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মোসাম্মাৎ রানী বেগম নামের মোংলা বন্দরের সাবেক কর্মচারী এক বৃদ্ধ নারী বন্দরের শিল্পাঞ্চলের আল-আরাফাহ ব্যাংক থেকে পেনশনের টাকা তুলে ভ্যান যোগে বাড়ী যাচ্ছিলেন। ফেরার পথে ভ্যান চালক ও ভ্যানে থাকা অন্য দুই যাত্রী বিধবা বৃদ্ধার চোখে মলম লাগিয়ে তার নিকট হতে পেনশনের উত্তোলনকৃত ৬,০০০/-টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে ভ্যানটি বাড়ীর দিকে না নিয়ে দ্বিগরাজ বাজারের দিকে নেয়ার সময় ওই নারী ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পাওয়ার হাউজ পেট্রোল পাম্পের রাস্তার পাশে ভ্যানটি ফেলে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে তাদের আটক করে।

খবর পেয়ে মোংলা থানার এস আই রফিকুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ও র‌্যাব-৬ এর যৌথ দল বিকাল সাড়ে ৩টায় স্থানীয় জনতার হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে র‌্যাব হেফাজতে নেয়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এছাড়া, ঐ একই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা গত ৫ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আল-আমিন নামের বন্দরের এক কর্মকর্তা তার পিতাকে নিয়ে জমি কেনার জন্য মোংলা থেকে চুলকাঠী যাওয়ার পথে বাসে বসে কৌশলে তার কাছে থাকা তিন লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় এই একই অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

র‌্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ বদরুদ্দুজা জানান, মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলের সরকার মার্কেট এলাকা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জনতার হাত থেকে তাদের ৩জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসকল অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মোংলা ও বন্দর এলাকায় ব্যাংক গুলোর আশ পাশে থাকে। গ্রাহকরা টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সুযোগ বুঝে কৌশলে খাবারের সাথে কিছু মিশিয়ে জ্ঞানহানী করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এদের সাথে কারা জড়িত তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।